প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: 'রূপসা নদীর উপর রেল সেতু নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। গত ২৫ জুন বসানো হয়েছে রূপসা রেল সেতুর সপ্তম ও সর্বশেষ স্প্যান। এখন চলছে 'ফিনিশিং ওয়ার্ক'। আগামী সেপ্টেম্বরে ঠিকাদারের কাছ থেকে রেল সেতু বুঝে নেবে রেল মন্ত্রণালয়। আর খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে আগামী ডিসেম্বরে। এই রেলপথ চালু হলে মোংলার সঙ্গে খুলনার মানুষের যোগাযোগ সহজ এবং পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের কারণে আরও গতিশীল হবে মোংলা বন্দর।'
-রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেল সেতুর কাজ আমাদেরকে বুঝিয়ে দেবে। রূপসা সেতুর উপর দাঁড়ালে এখন সম্পূর্ণ রেল সেতু দেখা যাচ্ছে। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর রূপসা রেল সেতুর কাজ শুরু হয়েছিল।
-রেল সচিব জানান, খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। রেল লাইন বসাতে আর বেশি সময় লাগবে না। ছোটখাটো কয়েকটি সেতু এবং আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ৩/৪ মাসের মধ্যে এসব কাজ শেষ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং এর কাজও সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, 'প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সকল কাজ সম্পন্ন হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ট্রায়াল রান করার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আলোচনা সাপেক্ষে এই রেল লাইন উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।'
-এর মধ্যে রেল সেতুর দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার। সেতুটির উপরিভাগ তৈরি করা হয়েছে স্টিলের গার্ডার এবং আরসিসি ডেকের সমন্বয়ে। এ ছাড়া ২১টি ছোটখাটো সেতু ও ১১০টি কালভার্ট নির্মাণ এবং খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ৮টি স্টেশন নির্মাণ কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আগামী ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ
'ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো রূপসা নদীর উপর রেল সেতু নির্মাণ কাজ করছে। বাকি কাজ করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। জমি অধিগ্রহণ, রেললাইন ও রেল সেতু নির্মাণসহ প্রকল্পের সব কাজের ব্যয় ধরা হয় ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। এ রেল সেতুটি হবে হবে দেশের দীর্ঘতম রেলসেতু। ভারত সরকারের ঋণ সহায়তা চুক্তির আওতায় বাস্তবায়ন হচ্ছে প্রকল্পটি।'
-রেল সচিব বলেন, খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ হলে মোংলা বন্দরের সঙ্গে খুলনাসহ সারাদেশের রেল সংযোগ তৈরি হবে। একই সঙ্গে পদ্মা রেল সেতু চালু হলে মোংলা থেকে মালামালবাহী ট্রেন খুলনা-যশোর হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে সরাসরি ঢাকায় যাবে। এতে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।